মুদ্রণশিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ৫ শতাংশ কর কমানোর দাবি

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 20:33:20

কোটেড-গ্রাফিক পেপার, কার্ড র্বোড (আনিকোটেড)), ডুপ্লেক্স র্বোড, আর্টকার্ড, ফোল্ডিং বক্স র্বোড ও সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপার আমদানিতে শতকরা হারে পাঁচ শতাংশ শুল্ক (কর) কমানোর দাবি জানিয়েছেন মুদ্রণ শিল্পের ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কনফারেন্স কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনীয়াবাত লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে করে।

লিখিত বক্ত্যেবে বলা হয়, বর্তমানে মুদ্রণ, প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল পণ্যে আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, মূসক, এটিডি ও এআইটি মিলে শতকরা ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ কর ধার্য রয়েছে। এ খাতের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ায় এসব পণ্য বৈধপথে আমদানি হচ্ছে না, আসছে অবৈধ পথে।

বন্ডেড সুবিধার অপব্যহার করে কাঁচামাল আমদানি করে খোলাবাজারে বিক্রি করছে। আর তাতে সরকার প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। আর দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শহীদ সেরনীয়াবাত বলেন, ‘মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল বিনা শুল্কে আমদানি করছেন বন্ডেড প্রাপ্ত লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা। আমাদের আমদানি করতে হলে ৬১ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। দেশে উৎপাদিত হয় না এমন কাঁচামাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে পাঁচ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, ‘আমরা বন্ডেড ব্যবহার বন্ধ চাই না, আমাদের দাবি বন্ডেড মিস ইউজ যাতে না হয়। খোলাবাজারে যাতে বন্ডেড পণ্য বিক্রি না হয়।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি ফজলুর রহমান পর্বত বলেন, ‘রফতানিকারকদের বন্ড সুবিধা অব্যহত রেখে বাণিজ্যিকভাবে পাঁচ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বিদেশি কাগজ আমদানি করার সুযোগ দিলে বন্ডের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বোর্ডের ৩৭ কোটি পাঠ্যপুস্তকের যে কাভার পেজ তৈরি করে মুদ্রণ শিল্প সমিতি, সেটাও বৈধভাবে আমদানি হয় না। দেশে নোট বইসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০ কোটি বই ছাপানো হয়; সিরাপ ওষুধের কাভারের কাগজ, বার্ষিক দিনপঞ্জির কাগজও দেশে তৈরি হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।'

আনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন-এর সভাপতি তোফায়েল খান, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদে বেলাল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর