মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মতই স্টক ডিলারদেরও প্রভিশনিং সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫অক্টোবর) পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭০৪তম সভায় এই সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্যহ্রাসজনিত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ-সংক্রান্ত যে সুবিধা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পায়, স্টক ডিলাররাও প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একই ধরনের সুবিধা পাবেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির কমিশন সভায় প্রভিশন রাখার ক্ষেত্রে স্টক ডিলারদের এই ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাইফুর রহমান।
কমিশন সভায় স্টক ডিলারদের প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য দুটি পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১. মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে- সংরক্ষিত প্রভিশন = (মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের গড় ক্রয় মূল্য-চলতি বাজার মূল্যে নিট সম্পদ মূল্যের ৮৫ শতাংশ)
২. বে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রভিশন = (বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের গড় ক্রয় মূল্য–বে-মেয়াদি ইউনিটের পুনঃ ক্রয় মূল্য)
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৯৬- এর ২০এ ধারার ক্ষমতা বলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন-সংক্রান্ত ছাড় দেয় বিএসইসি। এ সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের গড় ক্রয়মূল্য (সিপি) যদি তার ফেয়ার ভ্যালুর (এফভি) কম বা সমান হয় অথবা চলতি বাজার মূল্যে নির্ণীত নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) ৮৫ শতাংশের কম বা সমান হয় তাহলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ধারণকৃত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।