চলতি সপ্তাহের প্রথম তিনদিন টানা দরপতনের পর চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জোর করে সূচক বাড়নো হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
এর আগের সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৮ ডিসেম্বর) সূচক কমেছিলো ৭৫ পয়েন্ট। দ্বিতীয় দিনে ৬৩ পয়েন্ট এবং মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তৃতীয় কার্যদিবসে সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে ফোন দিয়ে ডিএসইর বড় বড় ব্রোকারেজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো শেয়ার কিনতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেউ যেন এখন শেয়ার বিক্রি না করেন তার কথা বলা হয়েছে। কোনো কোনো ব্রোরেজ হাউজে চাপও সৃষ্টি করা হয়েছে। এইভাবে কৃত্রিমভাবে সূচক বাড়ানো হয়েছে।
রোববার থেকে মঙ্গলবার এই তিনদিনের মতই বুধবার সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতার মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার ফলে সকাল সোয়া ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত সূচক বাড়ে। কিন্তু তারপর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক পতনের প্রবণতার মধ্যদিয়ে দিনের বাকি লেনদেন হয়।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।
এদিন লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩০৫ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৬৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ১৮০ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১টির, কমেছে ১০৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।