বিদায়ী বছরে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৭ হাজার ৮৪৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার বেচা-কেনা করেছেন।
এর আগের বছর শেয়ার বেচা-কেনা করেছিলেন ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ বিদায়ী বছরে ১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস বাদে টানা ১০ মাস বিদেশিদের লেনদেন কমেছে। এ সময়ে বিদেশিরা শেয়ার কেনার পরিবর্তে বিক্রি করেছেন বেশি।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুঁজিবাজার ভালো না থাকায় বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। এরা মূলত গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ারসহ বেশি কিছু শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বাজারের অবস্থা খারাপ থাকায় শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন তারা।
ডিএসইর তথ্য মতে, বিদায়ী বছরের পৌনে ২৭ লাখ বিওধারী বিনিয়োগকারী ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার বেচা-কেনা করেছেন। যা গত বছরের চেয়ে ১৯ হাজার ৭৬৯ কোটি ৪৪ কোটি টাকা কম। আর শতাংশের হিসেবে ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ কম৷
সেখানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৮৪৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ৩ হাজার ৬৭৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছেন। তার বিপরীতে ৪ হাজার ১৬৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার বিক্রি করেছেন।
এর আগের বছর ২৪২ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীরা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার বেচা-কেনা করেছেন। তার মধ্যে প্রবাসী ও বিদেশিরা ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছেন। তারা ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৪৯৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছিলেন। তার বিপরীতে ৫ হাজার ৮৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিলেন।