টানা ১১ মাস দরপতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে ২০১৯ সাল। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাদ দিয়ে বিদায়ী বছরে ২৩৭ কার্যকদিবসে লেনদেন হয়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে।
এই সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন করেছেন। যা আগের বছরের চেয়ে ১৯ হাজার ৭৬৯ কোটি ৪৪ কোটি টাকা কম। আর শতাংশের হিসেবে ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ কম।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২৩৭ কার্যদিবসে ডিএসইতে বিনিয়োগকারীরা মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন করেছেন। যা দৈনিক গড় লেনদেনে দাঁড়িয়েছে ৪৮০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
জাতীয় নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালেও ২৪২ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। তাতে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন করেছিলেন। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৫৫২ কোটি ৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী বছরে ডিএসইতে শুধু লেনদেন কমেনি। কমেছে সূচকও। আর তাতে পাল্লা দিয়ে কমেছে বাজার মূলধনও।
২০১৯ সালে ডিএসইর তিনটি সূচকের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৩২ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৫২ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যা শতাংশের হিসেবে ১৭ শতাংশ কম। ডিএসই ৩০ সূচক ৩৬৭ কমে ১ হাজার ৫১৩ পয়েন্টে এবং ডিএসইএক্স শরিয়াহ্ সূচক ২৩২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে ৯৯৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক ও লেনদেন কমায় ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন ৪৭ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা কমে ৩ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজগুলোর মূল্য আয় অনুপাত বা মার্কেট পিই দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৪৮। যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কম। শেয়ারের দাম তলানিতে। কিন্তু আকর্ষণীয় দামে শেয়ার কেনার পরিবর্তে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। তারা বিদায়ী বছরে ৩ হাজার ৬৭৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে ৪ হাজার ১৬৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন।
মূল মার্কেটের পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে ২০১৯ সালে শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৮৯২ টাকা৷ ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৪টি শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ এই টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ৪৮ কোটি টাকা কম। যা শতাংশের হিসেবে কমেছে ৬৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।