অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকের একদিন পর পুঁজিবাজারে আবারও বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৫৯ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৬৩ পয়েন্ট।
সূচকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর তাতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮২কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ক্রান্তিলগ্ন থেকে পুঁজিবাজারকে উত্তোলনের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ডিএসই পর্ষদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ডিএসইর পক্ষ থেকে বাজারের তারল্য সংকট নিরসনে ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড দেওয়া এবং গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির দ্বন্দ্ব নিরসনসহ মোট ১১ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী এসব দাবি শুনে বিএসইসিকে পুঁজিবাজারের সমস্যা নিরসনে প্রথমে গুজব বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এতে করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আর তার প্রভাব রোববার (৫ জানুয়ারি) দিনভর সূচক পতনের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। আর তাতে দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৫৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট। এদিন লেনদনে হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৫২টির, কমেছে ২৬৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আর তাতে ডিএসইর বাজার মূলধন ৩ হাজার ১৮২ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়।
এদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক ১৬৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ৩৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের। লেনদেন হওয়া কোম্পানির দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৬৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।