পারিবারিক নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়।
সবাই ‘মহানায়ক’ বলেই ডাকেন।
১৯২৬ সালের এই দিনে কলকাতায় জন্মেছিলেন উত্তম।
অভিনয় ক্যারিয়ারে সফলতার তুঙ্গে পৌঁছে যাওয়া এই অভিনেতার শুরুটা কিন্তু সুখকর ছিলো না।
তখন ১৯৪৭।
‘মায়াডোর’ সিনেমা দিয়ে শুরু করেন পথচলা।
কিন্তু প্রেক্ষাগৃহ পর্যন্ত যেতে পারেনি এটি।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২।
অরুণ অভিনয় করেন সাতটি সিনেমাতে।
দৃষ্টিদান’, ‘কামনা’, ‘মর্যাদা’, ‘ওরে যাত্রী’, ‘সহযাত্রী’, ‘নষ্ট নীড়’ এবং ‘সঞ্জীবনী।
এতোবার ফ্লপ হওয়ার কারণে টালিগঞ্জে তখন তাকে বলা হতো ‘ফ্লপ মাস্টার জেনারেল’।
তাতেও লাভ হয়নি কোনো।
তবে, উত্তম প্রথম আশার আলো দেখেছিলেন নির্মল দে পরিচালিত ‘বসু পরিবার’ সিনেমায়।
আপ্রাণ চেষ্টা করেও প্রথমে জায়গা পাননি তিনি।
নায়কের ভূমিকায় নেওয়া হয়েছিলো অন্য এক অভিনেতাকে।
ভাগ্যের জোরে পেয়ে যান সিনেমাটির কাজ।
রয়েছে অনেক কারণ।
৪০ দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্র শাসন করেছেন রাজেশ খান্না, দীলিপ কুমার এবং সঞ্জীব কুমারের মতো বাঘা বাঘা অভিনেতা।
উত্তম কুমার ছিলেন সেসময় একদম নতুন একটি মুখ।
নবাগত অভিনেতা হওয়ায় তার সিনেমাগুলো খুব বেশি প্রেক্ষাগৃহ পায়নি।
তেমন কারও সান্নিধ্যও পাননি তিনি।
নায়িকা ছিলেন সুচিত্রা সেন।
আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি মহানায়কের।
নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে, বক্স অফিসের নিশ্চিত গ্যারান্টিও হয়ে উঠলেন তিনি।
নারীদের কাছে সুদর্শন পুরুষ অথবা রোমান্টিকতার স্বার্থক উদাহরণ ছিলেন তিনি।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো-
এগুলো ছাড়াও এই মহানায়কের অভিনীত সিনেমার সংখ্যা অনেক।
তাকে মনে রাখবে বাংলা সিনেমা, মনে রাখবে অজস্র দর্শক।
আরও পড়ুনঃ
‘জয়া আপনাদের যতটা ঘরের মেয়ে, ঠিক তেমনিভাবে আমাদেরও ঘরের মেয়ে’