বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ `কান চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রথমবার অংশ নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনায় রয়েছেন অভিনেত্রী ভাবনা। নিত্য নতুন পোশাক পরে ছবি দিচ্ছেন, তা নিয়ে মেতে উঠছে নেটিজেনরা।
তবে ভাবনার এবারের কানযাত্রা শুধুমাত্র ফ্যাশনের মধ্যেই আটকে নেই। বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেকে দেখতে চান, এমন ইচ্ছা থেকেই নিজ উদ্যোগে তার এই উৎসবে যাওয়া। এমন দারুণ একটি জায়গায় গিয়ে তিনি ঘোষণা দিলেন নিজের ৭ম সিনেমার।
মালয়েশিয়া বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নির্মাতা জাফর ফিরোজের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবির নাম ‘জেনুবিয়া’।
পরিচালক জাফর ফিরোজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করে ১২ বছর আগে মালয়েশিয়া যান। বর্তমানে সেখানে পিএইচডি করছেন। এর আগে ‘রিবর্ণ’ নামের একটি চায়নিজ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এবারই প্রথম ভাবনাকে মূল চরিত্রে রেখে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ফিরোজ। ছবিটি বাংলা, ইংরেজি ও চায়নিজ ভাষায় তৈরি এবং মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
আর এই ছবির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন কিয়াও লি, যিনি একজন ব্রিটিশ চায়নিজ প্রযোজক। একই সঙ্গে তিনি ইউনেসকো ফিল্ম সিটির সঙ্গেও যুক্ত আছেন।
কান থেকে ভাবনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার চাওয়া থাকে প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন চরিত্রে দেখার। ‘জেনুবিয়া’র চরিত্রটি ঠিক তেমনি, যা নিয়ে গর্ব করা যায়। এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না। কিন্তুগল্পটা শোনার পর মনে হয়েছে, সত্যি অসাধারন। যেদিন ছবিটা সবাই দেখবেন সেদিন বুঝতে পারবেন আমি কেন এই কথাগুলো বললাম।’
প্রথমবার একা কানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবনা বলেন, ‘আমি একা এসেছি বলে প্রথমদিকে বেশ নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে ভয়কে জয় করতে শিখেছি। আমার সঙ্গে কান উৎসবে আসার পর যা কিছু ঘটছে, সবই কল্পনাতীত।’
‘জেনুবিয়া’ ছবিটি নিয়ে নির্মাতা গণমাধ্যমকে বললেন, ‘‘এ বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়াতে আমরা একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছি। তারই মার্কেটিংয়ের জন্য কান উৎসবে যাই। শুনলাম, বাংলাদেশ থেকে ভাবনা এসেছেন সেখানে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে গল্প শোনাই। তিনি রাজি হয়ে যান। আমরাও সিদ্ধান্ত নিলাম একসঙ্গে কাজটি করবো। আগামী তিন মাসের মধ্যে ছবির কাজ শুরু করতে চাই। পুরো শুটিং মালয়েশিয়াতেই হবে। অন্যান্য অভিনয়শিল্পীও এরমধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।’
ভাবনাকে কাস্ট করা নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘কানে দেখা হয়েছে বলেই হুট করে তাকে সাইন করানো হয়নি। গল্পের সঙ্গে মানানসই এমন কয়েকজন আমাদের তালিকায় ছিলেন। তারমধ্যে ভাবনাও একজন। যখন শুনলাম ভাবনা কান উৎসবে আসছেন, তখন ভাবলাম, হোয়াই নট তার সঙ্গে বসি। এরপর তো ব্যাটে বলে মিলেই গেল! আমার ছবিতে চরিত্রটি যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, তাতে ভাবনার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি খুব সুন্দরভাবে তা উপস্থাপন করতে পারবেন। তার আত্মবিশ্বাসও আমাদের অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে।’