কথায় বলে, মৃত বা জড়বস্তুতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা মানুষের নেই। তা নেই বটে, তবে স্থির ছবিগুচ্ছ সুসজ্জিত করার মাধ্যমে তাতে গতি এবং জীবনের পরশ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা অবশ্যই রয়েছে। সেই কারণেই অচল অ্যানিমেশন অনেক সময় রক্তে মাংসে গড়া মানুষের অভিনয়কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে ২০১৫ সালে প্রকাশ পাওয়া জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ইনসাইড আউটের ২য় কিস্তি। সপ্তাহান্তে দেখা গেছে দক্ষিণ আমেরিকায় এই সিনেমার আয় ডিউনের প্রথম সপ্তাহের আয়কেও ছাপিয়ে গেছে।
ভ্যারিটির তথ্যমতে, শুক্রবারের ৩০.৫ মিলিয়ন সহ প্রথম সপ্তাহে মোট ২৮৫.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করেছে ইনসাইড আউট টু। এইবছরের এই অবধি এটি দক্ষিণ আমেরিকার ওপেনিং উইকেন্ডের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়লো। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ২৮২ মিলিয়ন ডলার আয় করা ডিউন : ২ সিনেমার কাছে।
চলতি বছরের সবচেয়ে বড় ব্লক বাস্টার ছিল টিমোথি শ্যালামে এবং জেনডায়া অভিনীত সিনেমা ডিউন টু। একই নামের গ্রন্থের গল্পানুসারে তৈরি হওয়া এই সিনেমার দুটো কিস্তিই যেমন সর্বস্তরের দর্শকের পছন্দ হয়েছিল, তেমন নতুন সব আয়ের রেকর্ডও গড়েছিল।
ডিজনি বরাবরই তাদের অ্যানিমেশন দিয়ে কল্পনার দুনিয়াকে নতুন এক গল্পে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে। হাজার হাজার দক্ষ কর্মীর পরিশ্রমের সম্মেলনে প্রাণ পায় পর্দায় আঁকা চিত্ররা। গল্পগুলো হয়ও কল্পনাতীত, শুধুমাত্র রূপকথার গল্পে সীমাবদ্ধ নেই। একেকটি সিনেমায় প্রাণহীন বস্তুতে অনুভূতি থাকলে কি হতো, সেই গল্পে এগিয়ে চলে সিনেমা। গাড়ি, ঘরবাড়ি, আসবাব, খাবার, প্রাকৃতিক উপাদান- এসব শেষে মানুষের অনুভূতিগুলোর অনুভূতি থাকলে কেমন হতো সেই চিন্তা থেকেই ইনসাইড আউট সিনেমাটি বানানো হয়েছিল।
রাইলি নামের শিশুকন্যা তার অনুভূতিগুলো তীব্রতা এবং ছন্দপতনের কারণে একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। সেই যাত্রা পার করে সে জীবনকে নতুনভাবে শুরু দুষ্টিকোণ থেকে। গল্পের ধারাবাহিকতাতেই আমাদের বোঝোনো হয় শুধু হাসিখুশি থাকাতেই আমাদের জীবন নয়। অনেক সময় আমাদের জীবনে দুঃখও আসবে; বিরক্তি, রাগ এসব অনুভূতিও জীবনেরই অংশ। এই গল্পেই শেষ হয় ইনসাইড আউট সিনেমাটি।
সেই রাইলি এখন বড় হয়ে কৈশরে এসেছে। সাথে এসেছে কিছু নতুন অনুভূতিও। সবগুলো অনুভূতি সামলে নতুন এক অভিজ্ঞতায় এগিয়ে চলবে রাইলির জীবন। সিনেমার ২য় কিস্তি সেই অভিজ্ঞতাকেই তুলে ধরেছে।