দেখুন সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ের মনোরম ছবিগুলো

বলিউড, বিনোদন

মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2024-06-23 21:41:39

‘হীরামণ্ডি’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে দারুণ সফলতার পর আজ ব্যাচেলর জীবন ঘুচিয়ে নতুন জীবনে পা রাখলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা।

বলিউডেরেই তরুণ অভিনেতা জহির ইকবালের সঙ্গে তার বিয়ের ছবি নিজেই শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে।

সাদার মায়ায় বিয়ের সাজে ধরা পড়লেন নব দম্পতি সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল

এতো ছিমছাম বিয়ের সাজ আলিয়া ভাটকে ছাড়া আর কোন বলিউড নায়িকাকে দেখা যায়নি। তবে সোনাক্ষী যেন আলিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আলিয়া তাও মাথায় একটু টিকলি পরেছিলেন, সোনাক্ষী সেটিও পরেননি। যেন একেবারেই আটপৌরে সাজ অভিনেত্রীর। তারমধ্যেও সাদা হেভি অ্যাম্বিলিশমেন্ট করা শাড়িতে বিয়ের আনন্দ ঠিকরে পড়ছে চোখে মুখে। সোনাক্ষীর ভেতরের আনন্দই যেন তার গ্ল্যামার।

বর জহির ইকবালও পরেছেন সাদা পাজামা পাঞ্জাবী। সোনাক্ষীর মতো পাত্রী পেয়ে নিশ্চয়ই তিনিও দারুণ খুশি। সেই খুশির ঝলক রয়েছে তার চেহারায়ও।

সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ের মনোরম ছবি

সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ে ঘটনা এখন মুম্বাইয়ের টক অব দ্য টাউন। একেতো বর সোনাক্ষীর চেয়ে বয়সে ছোট। তার ওপর দুজন দুই ধর্মের! তবে এই তারকা যুগল বিয়ের বিষয়ে একেবারেই মুখ বন্ধ রেখেছিলেন।

তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় এই হেভিওয়েট ওয়েডিংয়ের খুটিনাটি। এরইমধ্যে ফাঁস হয়েছে বিয়ের কার্ড। সঙ্গে লাভ বার্ডদের অডিও ক্লিপিংস, যাতে তারা এক অভিনব কায়দায় অতিথিদের বিয়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বিয়ের সাজে নব দম্পতি সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল

বিয়ের কার্ডের ডিজাইনেও রয়েছে দারুণ নতুনত্ব। হুট করে দেখলে মনে হবে কোন ম্যাগাজিনের কভার। তাতে জুড়ে দিয়েছেন এক আজব শর্ত! বিয়ের কার্ডে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বিয়েতে লাল পোশাক পরে আসা যাবে না! বিয়ের কার্ডের চমক এখানেই শেষ নয়। তাতে রয়েছে একটি কিউআর কোড। সেটি স্ক্যান করলেই শোনা যাচ্ছে প্রায় এক মিনিটের অডিও বার্তা। তাতে সোনাক্ষী এবং জহির বলছেন, বিগত সাত বছর ধরে একসাথে রয়েছি আমরা। অভিমান আর ভালোবাসা নিয়ে কাটিয়েছি এতোগুলো বছর। এতোদিন আমরা ছিলাম চর্চিত প্রেমিক-প্রেমিকা। এখন অফিসিয়ালি স্বামী স্ত্রী হতে চলেছি।

নায়িকার বিয়ের কার্ড যে সত্যি ইউনিক একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সবচেয়ে নজর কেড়েছে তাদের সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের কথা। আজকাল খুব দ্রুত সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়, সেখানে সাত বছর নিঃসন্দেহে বিরাট ব্যাপার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর