তৌকীর আহমেদের চার পরামর্শ

, বিনোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-31 11:01:06

অভিনেতা তৌকীর দিন দিন যতো হারিয়ে যাচ্ছেন, ততোই উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন নির্মাতা তৌকীর। গত বছরের শেষ দিকে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘হালদা’ দারুণ প্রশংসা পেয়েছে। এ ছবিটি নির্মাতা হিসেবে তৌকীর আহমেদকে দিয়েছে নিজস্ব অবস্থান।


তবে নির্মাতা হিসেবে তৌকীর আহমেদ এখন যে সম্মান পাচ্ছেন, সেজন্য ‘অজ্ঞাতনামা’র অবদানও কম নয়। ২০১৬ সালে সিনেমা হলে দেখা গেছে ছবিটি।

ক’দিন আগে ওই বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হলো।

তিনটি ক্যাটাগরিতে পদক ঘরে তুললো ‘অজ্ঞাতনামা’।

শ্রেষ্ঠ ছবি তো অবশ্যই, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে তৌকীর আহমেদও স্বীকৃতি পেলেন আলাদা করে।

এর আগে তার পরিচালিত ছবি ‘জয়যাত্রা’ ও ‘দারুচিনি দ্বীপ’ কয়েকটি শাখায় জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছিলো।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে দু’কথা তাই তিনি বলতেই পারেন!

বলা উচিতও!

চলচ্চিত্রের জন্য রাষ্ট্রীয় এই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি আরও প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্ববহ করে তোলার জন্য চারটি পরামর্শ রেখেছেন তৌকীর।

এক.

চলচ্চিত্রের এই সর্বোচ্চ পুরস্কারের সেশনজট দূর করা দরকার। ২০১৬ সালের পুরস্কার ২০১৮-তে না হয়ে ২০১৭ এর মধ্যে হলেই ভালো হতো। না হলে আনন্দ যেমন ফিকে হয়, একইসঙ্গে দর্শকের মনেও গুরুত্ব কমে।

দুই.

এ ধরণের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও গুরুত্ব সহকারে সুন্দর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় হওয়া উচিত। না হলে সৌন্দর্যহানি ঘটে।

তিন.

জুরি বোর্ডেরও আরো দায়িত্ব সহকারে সকল তদবির, ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থের ওপরে উঠে বিচারকার্য সম্পন্ন করা জরুরি। নিরপেক্ষতার ঘাটতি অযোগ্য লোকের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়। তাতে সার্বিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব হানি হয়।

চার.

কোনো শাখায় মানসম্মত প্রতিযোগি না থাকলে সেই শাখায় ঐ বছর পুরস্কার নাও দেয়া যেতে পারে।

তৌকীর বলছেন,

‘মনে রাখতে হবে এই পুরস্কার চলচ্চিত্রের জন্য অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। পক্ষপাতিত্ব বা তদবিরের সংস্কৃতি ত্যাগ না করলে ক্ষতি সার্বিকভাবে এদেশের চলচ্চিত্রেরই’

তৌকীর আহমেদের পরবর্তী ছবি ‘ফাগুন হাওয়ায়’। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে নির্মিত এ ছবি আছে মুক্তির অপেক্ষায়।

ছবি: নূর


বিনোদনের আরও খবর পড়তে পারেন:

যারা পেলেন এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

বিমানে বসে সিনেমা দেখেন প্রধানমন্ত্রী

নায়ক রাজের নামে ইনস্টিটিউট চান ববিতা

এ সম্পর্কিত আরও খবর