নায়ক রাজের নামে ইনস্টিটিউট চান ববিতা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে সেরা রোমান্টিক জুটির তালিকা করলে, রাজ্জাক-ববিতা প্রথম সারিতে থাকবেন নিঃসন্দেহে।

জহির রায়হানের ১৯৭০ সালের ছবি ‘টাকা আনা পাই’ থেকে যাত্রা শুরু এ জুটির।

বিজ্ঞাপন

যদিও এর আগে ‘সংসার’ [১৯৬৮] ছবিতে ববিতা অভিনয় করেছিলেন রাজ্জাক-সুচন্দা জুটির মেয়ে হিসেবে।

১৯৭২-এর ছবি ‘স্বরলিপি’ দিয়ে রাজ্জাক-ববিতা সবার পছন্দের শীর্ষে চলে আসেন।

বিজ্ঞাপন

নিজের পরিচালিত প্রথম ছবি ‘অনন্ত প্রেম-এ নায়িকা হিসেবে ববিতাকেই কাস্ট করেন রাজ্জাক।

এরপর ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘বাঁদী থেকে বেগম’, ‘সোহাগ’, ‘বিরহ ব্যথা’, ‘প্রফেসর’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’-একসঙ্গে কাজ হয়েছে অনেক।

নায়করাজের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দু’জনের সখ্যতাও ছিলো দারুণ।

/uploads/files/N6qeIkjoDIPKKDp6PlTxXXItOj0D5kAUtGXanNfT.jpeg

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে আজীবন সম্মাননার পুরস্কার নিতে উঠে রাজ্জাকের কথা তাই মনে হলো ববিতার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাই নায়করাজ রাজ্জাকের নামে ফিল্ম ইনস্টিটিউট অথবা ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার আবেদন করলেন তিনি।
বললেন,

‘বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ নায়করাজ রাজ্জাক চলে গেছেন মহাকালের পথে। কিংবদন্তি এই শিল্পী যিনি স্বাধীনতা পদক, আজীবন সম্মাননাসহ এদেশের মানুষের অতি আপনজন হয়ে উঠেছিলেন। রাজ্জাকের অবদান এবং স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য রাজ্জাক ফিল্ম ইনস্টিটিউট অথবা রাজ্জাক ফিল্ম আর্কাইভ নামকরণের জন্য আবেদন করছি।’

/uploads/files/pUzJA4eJgHwR13JOIA2IWm35Wh9Z1LINpLjpjz7u.jpeg

এছাড়া ববিতা শিল্পীদের জন্য স্বল্পমূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬-এর পুরস্কার প্রদানের আসর বসেছিলো রবিবার [৮ জুলাই] সন্ধ্যায়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।

এবারের আসরে আজীবন সম্মাননা পান ববিতা ও ফারুক।

আরও পড়ুন:


যারা পেলেন এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
বিমানে বসে সিনেমা দেখেন প্রধানমন্ত্রী