ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে আইসিইউতে পর্যন্ত রাখতে হয়েছিলো।
গত কয়েক দিন আমরা ভয়াবহ খারাপ সময় পার করেছি। আপনারা সবাই কম বেশি জানেন, মা গত ৩ বছর ধরে ডায়ালাইসিস নিচ্ছে। গত ১৮ই জুলাই মা জ্বরে আক্রান্ত হয়, কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষার পর জানতে পারি সে নিউমোনিয়া ও ডেঙ্গু দুটোই শরীরে বহন করছে। ডায়ালাইসিস-এর রোগী হওয়ায় তার জন্য যেকোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন।
২৩শে জুলাই সকালে তার শরীরে কিছু জটিলতা দেখা দিলে তখনই আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) নেয়া হয়।
জয়িতা জানালেন-
ওই মুহুর্তে যেই পর্যবেক্ষণের দরকার ছিল, সেটা আইসিইউ ছাড়া সম্ভব ছিল না।
পরের দিন সকালে আবার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
জয়িতা বলছেন-
কিন্তু যেটা আসলে মাথায় রাখা প্রয়োজন, সেটা হল সব মিলিয়ে ‘সি ইজ অ্যা ক্রিটিক্যাল প্যাশেন্ট’। মায়ের ইনফেক্শনটা পুরোপুরি যেতে সময় লাগবে। তার প্রচুর রেস্ট দরকার, এবং কোনো ভাবেই এই ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ-এর যায়গা নেই। সবার কাছে অনুরোধ এই সময়টায় আপনারা যারা তার জন্য দুশ্চিন্তা করছেন তারা তার জন্য শুভাশীষ দিন, আপনাদের প্রার্থনায় মাকে রাখুন।
তিনি বলছেন-
ভিজিটর্স একেবারেই রেস্ট্রিকটেড, তার ইমিউনিটি কম, তাকে সুস্থ হতে হলে এই সময়টুকু তাকে একটু আলাদা ভাবে রাখতে হবে। সবার সহযোগিতা চাই।
মায়ের এমন অবস্থায় সাহস রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলেন মেয়ে।
বলছেন-
আমি মাঝে মাঝে ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু আসলে আমার ভুলে যাওয়া উচিত না যে, আমি কোন বাপ-মায়ের মেয়ে। তাদের মত সাহসী, মনের জোরওয়ালা মানুষ আমার চারপাশে খুব কমই আছে।
আরও পড়ুনঃ