নিরাপদ সড়কের দাবিতে ক’দিন আগে চলতে থাকা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-এ বেশ সক্রিয় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার বিভিন্ন পোস্ট আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিলো।
অন্য আরও কয়েকজন অভিনয়শিল্পী, কূশলীদের সঙ্গে তিনি নেমেছিলেনও আন্দোলনের মাঠে, জোরালো করেছিলেন নিরাপদ সড়কের দাবি।
জনৈক ছাত্রের ফোন পেয়ে আবেগ সংবরণ না করতে পেরে দ্রুত লাইভে চলে এসেছিলেন নওশাবা।
তখনি তিনি উত্তরায়, শুটিং করছিলেন।
লাইভে এসে নওশাবা জানালেন-
জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা ও চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদের অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ প্লিজ, ওদেরকে বাঁচান। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখনই রাস্তায় নামবেন ও আপনাদের বাচ্চাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবেন, এটা আমার রিকোয়েস্ট। বাচ্চাগুলো নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। আপনারা সবাই একসাথে হোন। আমি এ দেশের মানুষ, এ দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি।
ফলে, ফেসবুক লাইভে এসে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
এরইমধ্যে গ্রেফতারও করা হয় তাকে।
রিমান্ডে নেওয়া হয় চারদিনের জন্য।
প্রথম দফার রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে আরও ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হয়।
কারণ, নওশাবার সঙ্গে আরও যাদের যোগাযোগ আছে তাদের মেইল আইডির সন্ধান সহ আরও কিছু বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনঃ