রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ এবং ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে আয়োজিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দাতা দেশগুলো।
রোহিঙ্গাদের জন্য ফান্ড সংগ্রহে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ অর্থের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে আজই রোহিঙ্গাদের সহায়তা হিসেবে ৪৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড নতুন সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এক ঘোষণায় এ সহায়তার কথা জানান।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য চলতি বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছিল জাতিসংঘ।
ইইউর সংকট মোকাবিলা সংক্রান্ত কমিশনার জেনিজ লিনের বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি মানবিক বিপর্যয়, যা রোধে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। এই সংকটের টেকসই সমাধানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত রাখাইন পরামর্শক কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। রোহিঙ্গা সংকট যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভুলে না যায়, সেজন্য সক্রিয় থাকতে হবে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট মোকাবিলায় ইইউ কমিশনার চলতি বছরের জন্য ৯৬ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিস্থিতি ২০১৭ সাল থেকে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এই সংকট যত বিলম্বিত হবে, ততই জটিল আকার ধারণ করবে। সংকট নিরসনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের ইস্যুটি সমাধান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আসিয়ানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে উল্লেখ করে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, এই সংকটের উৎসে সমাধানের ওপরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোর দিতে হবে। রাখাইন পরিস্থিতিকে ‘জটিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এই সমস্যা কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তবে সংকট নিরসনে সময়ের প্রয়োজন। এজন্য ধৈর্য ধরতে হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রত্যাবাসন শুরুর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
সংলাপের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আসিয়ান ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। সম্মেলনে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বেসরকারি এনজিও এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।