মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মহানুভবতা ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রদূত রেন্সে তিরিঙ্ক।
ইইউ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ১৪ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা) নতুন অনুদান দিয়েছে যা বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে চলমান নিবন্ধন কার্যক্রমকে সাহায্য করবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ইউএনএইচসিআর-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য এ অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
রাষ্ট্রদূত রেন্সে তিরিঙ্ক বলেন, ইউএনএইচসিআর-এর জন্য আমাদের এই ফান্ডিং সেই মহানুভবতা ও মানবিকতার প্রতি একটি অবদান। এটি বৈশ্বিকভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টিম ইউরোপের কার্যক্রমের একটি অংশ, আর এর লক্ষ্য হচ্ছে অতিমারির কারণে শরণার্থী সংকট যেন আরও খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করা।
নিবন্ধনের মাধ্যমে শরণার্থীদের সহায়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। আরও নিশ্চিত করা যায় যেন নির্দিষ্ট ও বিশেষ সেবা পাওয়ার যোগ্য মানুষেরা সুরক্ষা পায় এবং সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে মানবিক সাহায্য পায়। এই অনুদান আরও সাহায্য করবে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়ন, সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রম ও কক্সবাজারে করোনায় আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবিলা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস বলেন, বর্তমান সময়টি খুবই চ্যালেঞ্জিং। রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোরালো সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের মানবিক কার্যক্রম করা সম্ভব হতো না।
২০১৭ সালে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর আগমনের পর থেকে ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা মিলে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করছে, যেন শরণার্থীদের ও তাদের আশে-পাশের স্থানীয় জনগণকে বিভিন্ন রকম সহায়তা দেওয়া যায়। এর মাঝে আছে অতি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, আশ্রয় তৈরি, পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি এবং বর্ধিত আকারে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। পুরো মানবিক কার্যক্রমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্যতম সক্রিয় সহায়তা প্রদানকারী।