ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছে ইলেকটোরাল কলেজ। জো বাইডেন এই বিজয়কে ‘গণতন্ত্র ও জনগণের ইচ্ছার বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটরদের বৈঠক শেষে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
চূড়ান্ত বিজয় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আত্মার লড়াইয়ে গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে। এই বিজয়ে জনগণের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এই জাতি বহু আগে থেকে গণতন্ত্রের শিখা জ্বালিয়েছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম মহামারী বা ক্ষমতার অপব্যবহারের কিছুই এই শিখা নিভিয়ে দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, মার্কিন গণতন্ত্র প্রচণ্ড চাপ, নানা ধরনের পরীক্ষা ও হুমকির মধ্যে ছিল। কিন্তু সব কিছু ছাড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং শক্তি প্রমাণিত হয়েছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাইডেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ফলাফল মেনে নেবেন না। গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জো বাইডেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পান। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। তবে গণনার শুরু থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন। সেই সঙ্গে পরাজয় মেনে না নিয়ে একের পর এক আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
যদিও কোন মামলায় তিনি জয়ী হননি। ভিত্তিহীন দাবি করে সুপ্রিম কোর্ট মামলাগুলো খারিজ করেছেন।
ডেলওয়ারের উইলমিংটনে ট্রাম্পের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ভোট বাতিলের এমন আপ্রাণ চেষ্টা আগে দেখা যায়নি। ধন্যবাদ যে সুপ্রিম কোর্ট ওই আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। আইনের শাসন, সংবিধান এবং জনগণের ইচ্ছা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাইডেন ট্রাম্পের ওই দাবি ‘ভিত্তিহীন’বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন।