করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুজ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, নতুন ধরনের সংক্রমণের বিষয়ে আরও তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রমণে সতর্কতা থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা গোটা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এটির মারাত্মক অসুস্থতার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ডব্লিউএইচও বলেছে, নতুন ধরন মহামারির বিবর্তনের একটি স্বাভাবিক অংশ। করোনার নতুন ধরন শনাক্ত করায় যুক্তরাজ্যের প্রশংসা করেছে ডব্লিউএইচও।
করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর অনেক দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ কারণে আটকা পড়েছে জরুরি পণ্যবাহী বহু গাড়ি।
সংস্থাটি খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরবরাহের জন্য আটকে থাকা পণ্যবাহী সব যানবাহনকে ঢোকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুজ বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহ ও জরুরি ভ্রমণ চালু থাকা উচিত।
করোনার নতুন ধরন নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি, যা চিন্তার বিষয়। এরই মধ্যে করোনার নতুন ধরন যুক্তরাজ্যের বাইরে একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ৪০টির বেশি দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে বায়োএনটেক-ফাইজারের ভ্যাকসিন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী উগুর শাহীন। তবে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৬ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৮৩২ জন।