মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে চাপ দিচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য ডেমোক্র্যাটদের চাপের মুখে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এক চিঠি দিয়ে ক্যাপিটল হিলে হামলার পর দায়িত্ব পালনে অযোগ্য হওয়ায় সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুসারে ট্রাম্পের অভিশংসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে ২৫ তম সংশোধনীর আহ্বান জানাবেন না।
সংশধোনীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পেন্স চিঠির জবাবে বলেছেন, এই দাবি থেকে সরে আসতে হবে। এই মুহূর্তে এমন আবেগ দেশকে আরও বিভক্ত করবে এবং অশান্তি সৃষ্টি করবে।
পেন্স জানিয়েছেন, ২৫তম সংশোধনীটি প্রেসিডেন্টের অক্ষমতা দূর করতে করা হয়েছিল। এখন হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভ এটাকে রাজনৈতিক গেমস হিসেবে দেখছে। তবে তিনি এই দাবি পূরণ করবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে গত সপ্তাহেই ভয়াবহ ওই তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ভবনটির ভেতরে যেভাবে এ সহিংসতা চালানো হয়েছে সেটি ছিল নজিরবিহীন। এই সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন নিহত হন। হামলার উসকানি দেওয়ার অভিযোগেই ট্রাম্পকে অভিশংসনের দাবি উঠে। এমন পরিস্থিতিতেই অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন প্রস্তাবে ভোটাভুটি হবে। প্রতিনিধি পরিষদের ওই ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটি পাস হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা।
তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সংশোধনী প্রয়োগে রাজি না হন তাহলে অভিশংসন আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া তৈরির দিকে অগ্রসর হতে হবে।
ন্যান্সি পেলোসি তার চিঠিতে জানান, আমরা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করব, কারণ এই প্রেসিডেন্ট আসন্ন হুমকির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার উৎসকানিতে গণতন্ত্রের ওপর চলমান হামলার ভয়াবহতা তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং তাই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) ক্যাপিটল হিলে হামলার পর প্রথম ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।