ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমালয়ের একটি হিমবাহ ধসে পড়ে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আকস্মিক এ বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অন্ততপক্ষে ১০০-১৫০ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে উদ্ধার অভিযান। উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতির পর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশও। গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে রাজ্য সরকার।
হিমবাহ ধসের পর সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস কাছাকাছি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিক এবং নদীর ধারে জ্বালানি কাঠ খুঁজতে যাওয়া ও গবাদিপশু চরানো অনেক মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে এ ঘটনার ভিডিও দিয়েছেন এতে দেখা গেছে, এই অঞ্চলে বন্যার পানি ব্যাপকভাবে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় সিং রানা বলেছেন, কিছু বুঝার আগেই হিমবাহ ধসে পড়ে, কাউকে সতর্ক করার সময়ও ছিল না।
উত্তরাখণ্ডের পুলিশ প্রধান অশোক কুমার জানিয়েছেন, হিমবাহ ধসের পর সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কাছাকাছি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করা অর্ধশতাধিক লোক মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে চামোলির রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অলকানন্দায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর এক টুইটে মোদি লিখেছেন, গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।