মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন উইকিলিকস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে মার্কিন বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন বিচারকের মুখপাত্র মার্ক রাইমন্ডি বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিষয়টি লন্ডনের একটি আদালত আটকে দিলেও তাকে ফিরিয়ে আনতে লড়াই চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের ওই আদালতের বিচারক মনে করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এবং অ্যাসাঞ্জের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও তার ‘আত্মহত্যা করার’ ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে রুলটি দিয়েছে আদালত। রুলে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করা অত্যাচারী হবে।
বিচারক তার রায়কে আপিল করার জন্য আমেরিকার পক্ষে একটি সময়সীমা হিসেবে শুক্রবার দিন ধার্য করেছিলেন।
রায়মন্ডি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তার (জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ) প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিন শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ব্রিটিশ আদালত। তখন থেকে বেলমার্শ নামক কুখ্যাত কারাগারে সাজা ভোগ করছেন অ্যাসাঞ্জ। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। ব্রিটিশ পুলিশও অ্যাসাঞ্জকে হেফাজতে নিয়েই জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা সে সংক্রান্ত মামলার বিচার চলছে ব্রিটিশ আদালতে।