করোনার মতো কোন মহামারি ভবিষ্যৎ আক্রমণ করলে তা এক সঙ্গে মোকাবিলায় সম্মতি দিয়েছেন ২৩টি দেশের নেতারা। খবর আল-জাজিরা।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ২৩টি দেশের নেতারা এই চুক্তির বিষয়ে সম্মতি দিন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস।
বিশ্ব সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করার পরে, ২৩টি দেশের নেতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মহামারি মোকাবিলার জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি ভবিষ্যতের প্রজন্মকে রক্ষা করবে।
প্রস্তাবিত এই চুক্তিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরিকারী যেকোনো বিষয়ে তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে।
গত নভেম্বরে বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক দেশগুলোর জোট গ্রুপ-২০–এর সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এ জাতীয় চুক্তির ধারণাটি প্রথম বলেছিলেন। এতে করে মহামারিতে টিকা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সর্বজনীন ও সমান অধিকার নিশ্চিত হবে বলেও তিনি বলেছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ আরও অনেক বিশ্বনেতা এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিলেন।
টেড্রস সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বজুড়ে মহামারিটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না। তিনি বলেন, এই চুক্তিটি জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক নতুন এই চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতা আলোচনা শুরু হয়নি বলে কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রস্তাবিত এই চুক্তিতে সম্মতি দেন যে সব দেশ- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, নরওয়ে, গ্রিস, ফিজি, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রুয়ান্ডা, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চিলি, কোস্টারিকা, আলবেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইউক্রেন।
তবে, এ সংক্রান্ত চিঠিতে এখনো সই করেনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।