করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসেনি। সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। শুক্রবার (১৪ মে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস এমন আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছরে করোনা অনেক বেশি প্রাণঘাতী হতে চলেছে।
শনিবার (১৫ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, আগামী জুলাই মাসে জাপানের টোকিয়োতে অলিম্পিক্সের আসর বসার কথা। তার আগে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত চিন্তায় ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। এ পরিস্থিতিতে প্রত্যেক দেশকে সতর্কতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টকে (করোনার ভারতীয় স্ট্রেইন) ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথম ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলে। ইতিমধ্যেই তা ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৩ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩১৪ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২৪৩ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৯ জনের।