রূপকথার গল্পে অন্যতম একটি চরিত্র মৎসকন্যা। যার উপরের অংশ মানুষ আর নীচের অংশ মাছ। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাভাষী মানুষের কাছে এটি খুবই পরিচিত একটি চরিত্র। কিন্তু বাস্তবে কি সত্যিই আছে কোন মৎসকন্যা? এটা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল আর জল্পনা। এবার সেই জল্পনা উসকে দিল একটি কঙ্কাল।
গত ১ জুন এক ব্রিটিশ দম্পতি বেড়াতে গিয়েছিলেন লিভারপুলের সমুদ্র সৈকতে। সেখানেই ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ একটি অদ্ভুত জিনিস দেখতে পান স্ত্রী। আর তিনিই আবিষ্কার করেন এই কঙ্কালটি। তারপর সেটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে এই ছবি কতদূর সত্যি, তা নিয়ে সংশয় থাকলেও নেট দুনিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে চলছে তুমুল আলোচনা। অসমর্থিত সূত্রে খবর, কঙ্কালটি ইংল্যান্ডের প্রাণী গবেষণাকেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন, এমন কোনো কঙ্কাল পাওয়াই যায়নি। ছবিটিই আসলে ভুয়া।
তবে কঙ্কালটি যে পাওয়া গেছে সেটি কিন্তু শতভাগ সত্যি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটি কি মৎস্যকন্যার কঙ্কাল নাকি অন্য কিছুর। অনেকে বলছে এটি হতে পারে বিরল প্রজাতি কোন মাছের কঙ্কাল। আবার অনেকের মত এটি এক ধরনের তিমির কঙ্কাল হতে পারে।
ঊর্ধ্বাঙ্গ অনেকটা মানুষের মতো এবং নিম্নাঙ্গ মাছের মতো দেখতে এই কঙ্কাল নিয়ে এখনই শেষ কথা বলার মত সময় আসেনি বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র পাড়ে কিন্তু প্রায় প্রতি বছরই এরকম রহস্যজনক কিছু না কিছু প্রায়ইশ পাওয়া যায়। এখন সত্যিটা জানা যাবে যদি এটা নিয়ে কোন গবেষণা হয়।