ভারতে মুখোমুখি মোহন ভাগবত ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

ভারত, আন্তর্জাতিক

লুৎফে আলি মহব্বত, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 07:40:29

হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত আর মুসলিম সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক দল অল ইন্ডিয়া মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) সভাপতি ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চলছে তুমুল বিবৃতি যুদ্ধ। ধর্ম ও রাজনীতি ইস্যুতে দুই নেতার উত্তপ্ত বাক্যবাণে সরগরম মিডিয়া।

বিতর্কের সূত্রপাত হয় গতকাল রোববার (৪ জুলাই), যখন আরএসএস প্রধান হিন্দুত্ববাদ ও লিঞ্চিং নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, 'হিন্দু মুসলিম অভিন্ন। ধর্ম আলাদা হলেও সকলের ডিএনএ এক।' এরপরেই সোমবার (৫ জুলাই) একের পর এক টুইট করে সরকারকে নিশানা করেন হায়দরাবাদের সাংসদ, মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

মোহন ভাগবতের বক্তব্যে প্রতিবাদ করে মিম প্রধান টুইট-এ জানান, 'এই বিদ্বেষ হিন্দুত্বের দান'। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, 'এই অপরাধীদের হিন্দুত্ববাদী সরকারই আশ্রয় দেয়'। এদিন সোমবার পরপর টুইট করেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি টুইটারে লেখেন, 'আরএসএস-এর মোহন ভাগবত বলেছেন,' লিঞ্চিং করা ব্যক্তিরা হিন্দুত্বের বিরোধী'। এই অপরাধীরা গরু ও মহিষের মধ্যে পার্থক্য নাও জানতে পারে, কিন্তু খুন করার জন্য এদের কাছে জুনেইদ, আখলাখ, পেহলু, আলিমুদ্দিন নামই যথেষ্ট'।

পরের টুইটেই হায়দরাবাদের সাংসদ লেখেন, 'আলিমনুদ্দিনের খুনিকে মালা পরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, আখলাকের খুনির মৃতদেহের উপরে তেরঙ্গা দেওয়া হয়। আসিফের হত্যাকারীদের সমর্থনে মহাপঞ্চায়েত বসানো হয়, যেখানে এক বিজেপির মুখপাত্র প্রশ্ন করেন, 'আমরা কি খুনও করতে পারি না?'

উল্লেখ্য, রোববার আরএসএস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দলীয় প্রধান মোহন ভাগবত বার্তা দেন, ভারতে ইসলামের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। এমন আতঙ্কের ফাঁদ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে সাবধান রাখার পরামর্শই দেন তিনি। একইসঙ্গে মুসলিমদের দেশছাড়া করার হুমকি, মিথ্যে অপবাদে পিটিয়ে মারার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার আরএসএস চিফ। তিনি বলেন, যদি কোনও হিন্দু কোনও মুসলিমকে দেশ ছাড়া করতে চান তবে তিনিও হিন্দু হওয়ার যোগ্য নন।

ভাগবতের বক্তব্যে পরেই মঞ্চে অবতীর্ণ হন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ধর্ম, রাজনীতি, হিন্দুত্ব, মুসলিম নিধন নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। দুই বিপরীত মেরুর দুই নেতার বিবৃতি-যুদ্ধে করোনাকালের স্থবির পরিস্থিতিতে অকস্মাৎ তপ্ত হয় সামাজিক যোগাযোগের নিউজ ফিড আর মূলস্রোত মিডিয়াগুলোও।

এ সম্পর্কিত আরও খবর