মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে ছেড়ে দিয়েছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খবরে বলা হয়, খায়রুজ্জামানকে পুত্রজায়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিপো সদর দফতর থেকে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এর আগে, গত ১০ খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আমপাং এ তার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর। খায়রুজ্জামানকে ফেরত পাঠালে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট।
বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান (৬৫) ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন।
তিনি জেল হত্যা ঘটনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল।
২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন খায়রুজ্জামান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেয় এবং তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করে।
পরে তিনি গ্রেফতারের ভয়ে কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কাছে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় থাকার একটি পরিচয়পত্র পান।