সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবারও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন তিনি।
এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। স্থানীয় সময় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৫ পাতার ওই অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হলে পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেন। বাইডেনের জয়ের সত্যায়নে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বসে। সত্যায়ন প্রক্রিয়া ঠেকাতে ট্রাম্পের উসকানিতে তার সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল) হামলা চালান।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও, পরাজিত প্রার্থী (ট্রাম্প) ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন। তাই ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দুই মাসের বেশি সময় পর তিনি এই বলে মিথ্যা ছড়িয়েছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে জালিয়াতি হয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনিই জিতেছেন।
ট্রাম্পের বাক্স্বাধীনতা রয়েছে উল্লেখ করে ৪৫ পাতার অভিযোগে বলা হয়েছে, তবে তিনি নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার জন্য বেআইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করতে ষড়যন্ত্র, অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রসহ মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আগামী ৩ আগস্ট একটি ফেডারেল জেলা আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। অভিযোগে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অজ্ঞাতনামা আরও ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মার্কিন রাজনীতিক রুডি জুলিয়ানি বলে মনে করা হচ্ছে। যিনি ট্রাম্পের আইনি দলে কাজ করেছিলেন।