সম্ভাব্য টর্নেডোর বিপরীতে সতর্কতা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির সব সরকারি অফিস সোমবার (৭ আগস্ট) ভোরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী ওই টর্নেডোর কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিষেবাও। কারণে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এবং নিরাপত্তা বিষয়টি মাথায় রেখে বিমানের ২৬০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, বিমান ওঠানামাতেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির মুখ পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
দ্য ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস ওয়াশিংটন ডিসিতে টর্নেডোর চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে। শুধু ওয়াশিংটন ডিসিই নয়, টেনেসি থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত আমেরিকার ১০টি স্টেটেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ওয়েবসাইট পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএরের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এই টর্নেডোর প্রভাবে মেরিল্যান্ড এবং ভার্জিনিয়ায় ২ লাখ পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ এবং মধ্য আটলান্তিক স্টেটগুলোরও একই অবস্থা।
ওই টর্নেডোর কারণে ওয়াশিংটনের উপকূল অঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ ক্যারোলাইনায় ঝড়ের সময় গাছ উপড়ে পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, ফ্লোরেন্সে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
আলাবামা, জর্জিয়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনা, মেরিল্যান্ড, নিউ জার্সি, ডেলাওয়ার, পেনসিলভেনিয়া, টেনেসি, পশ্চিম ভর্জিনিয়া এবং ভার্জিনিয়ার উপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যাওয়ায় ১১ লাখ পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের কারণে প্রায় আট হাজার বিমান দেরিতে চলাচল করছে। হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বেশ কিছু বিমানের পথও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।