পিয়ংইয়ং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ার করেছে হোয়াইট হাউস।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বুধবার (৩০ আগস্ট) বলেছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
জন কিরবি বলেছেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে তার অস্ত্র আলোচনা বন্ধ করার এবং রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ বা বিক্রি না করার জন্য পিয়ংইয়ং যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছি।’
কিরবি তার মন্তব্যে উত্তর কোরিয়াকে তার সরকারি নাম ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া (ডিপিআরকে) বলে উল্লেখ করেছেন।
কিরবি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়া সফর করার সময় পিয়ংইয়ংকে মস্কোর কাছে আর্টিলারি গোলা-বারুদ বিক্রি করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং তিনি গত জুলাই মাসে কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
তবে, মার্কিন কর্মকর্তারা কীভাবে ওই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন কিবরি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সহায়তা না করার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিপক্ষ চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে আসছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম তাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিঠি বিনিময় করার কয়েক সপ্তাহ পরে বুধবার কিরবি ওই মন্তব্য করলেন।
পুতিন ওই সময় এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, আমরা দুই দেশের জনগণের কল্যাণ এবং কোরীয় উপদ্বীপ এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দৃঢ় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করব।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র গত বছর উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়াকে গোপনে আর্টিলারি শেল পাঠানোর অভিযোগ করেছিল।
কিরবি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন রয়েছি যে, ডিপিআরকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে সামরিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে বিবেচনা করছে। নতুন তথ্য প্রমাণ করে যে, এই ধরনের আলোচনা অগ্রসর হচ্ছে। আগামী মাসগুলোতে এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চলতে পারে।’
উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া-উভয়ই এর আগে অস্ত্র সহযোগিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন আধিপত্যবাদী নীতি মস্কোকে তার নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার জন্য সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।