মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্যাগ অর্ডার জারির আদেশ দিয়েছেন দেশটির বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারক তানিয়া চুটকানকে এ আদেশ দেওয়া হলে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনি অভিযোগ ফাইলটি উন্মুক্ত করেন।
ফেডারেল নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারবেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য দিবেন তা একটি গ্যাগ অর্ডারের অধীনে রাখার জন্য বলেছেন স্মিথ। ট্রাম্পের মন্তব্য সীমাবদ্ধ করার জন্য এই আদেশ দেওয়া হয়। জ্যাক স্মিথের ফাইলিং উন্মোচনের আদেশকে সংকীর্ণভাবে সাজানো এবং হয়রানিমূলকবলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
স্মিথের দলের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে ট্রাম্প অনলাইনে পাল্টা আঘাত করে লিখেছেন, তারা আমাকে কথা বলতে দেবে না?
এর আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিচারক চুটকানকে লিখেছিলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরোপিত এই মামলা পক্ষপাতদুষ্ট এবং মামলা থেকে সরে যেতে বলেছেন। এটা স্পষ্ট নয় যে তিনি কখন যে কোনও গতির ওপর একটি বিধিনিষেধ জারি করতে পারেন।
তিনি আরও লেখেন, ২০২০ সালের নির্বাচন উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের জন্য তিনি দোষী নন। মামলাটিকে ট্রাম্প একজন বিচারকের সাজানো জালিয়াতি এবং একটি উগ্র ওবামার হ্যাক বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মুক্তি পাওয়া এই মামলাটি পুরানো আদালতের নথিগুলোর একটি, যা এক সপ্তাহ আগে দায়ের করা হয়েছিল। কৌঁসুলিরা বলেছেন, তাদের প্রস্তাবিত গ্যাগ অর্ডার একটি সংকীর্ণ, সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ যা মিথ্যা তথ্য, হুমকি এবং পক্ষপাতমূলক মন্তব্য প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয়।আদেশটি অনুমোদিত হলে এটি ট্রাম্পকে সম্ভাব্য সাক্ষীদের পরিচয়, সাক্ষ্য বা বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে বিবৃতি দেওয়া এবং যেকোনো পক্ষ, সাক্ষী, অ্যাটর্নি, আদালতের কর্মীদের, বা সম্ভাব্য বিচারকদের সম্পর্কে বিবৃতি দিতে নিষেধ করবে। যা তাদের জন্য অপমানজনক বা ভযের হতে পারে। সাবেক প্রেসিডেন্টের বাকস্বাধীনতার অধিকারে এমন বিধিনিষেধ আসন্ন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বড় সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে, রিপাবলিকান দলের হয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের জন্য বর্তমানে অগ্রগামী এই নেতাকে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ফেডারেল তদন্তসহ চারবার অভিযুক্ত করা হয়েছিলো।