যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘চীনের সঙ্গে সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেইজিংয়ের আগ্রাসন এবং ভয় দেখানো নীতিকে ঠেকাবে ওয়াশিংটন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেইজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক দায়িত্বের সঙ্গে পরিচালনা করতে চায় ওয়াশিংটন।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী দিনে ভাষণ দেওয়ার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমরা অভিন্ন প্রচেষ্টার বিষয়গুলোতে চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতেও প্রস্তুত। চীনের ক্ষেত্রে আমি স্পষ্ট এবং ধারাবাহিক হতে চাই। আমরা দায়িত্বের সঙ্গে আমাদের দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে চাই, যাতে এটি সংঘাতের দিকে না যায়।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় একটি গুপ্তচর বেলুন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন, বাণিজ্য বিরোধ ও মানবাধিকারের সঙ্গে জড়িত নানা ঘটনায় ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা এই বছরের শুরুতে বেড়ে যায়।
বাইডেন বলেন, ‘আমি বলেছি, আমরা চীনের সঙ্গে ঝুঁকি দ্বিগুণ করতে রাজি নই। তবে, আমরা চীনের আগ্রাসন ও ভয় দেখানো নীতিকে ঠেকাবো এবং নিয়ম রক্ষা করব।’
তিনি বলেন, তার প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব এবং এর সামরিক শক্তির ক্রমবর্ধমান হুমকিকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে।
বাইডেন বলেন, তার প্রশাসন সংঘর্ষ এড়াতে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের চ্যানেলে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এবং বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো উভয়েই সরকার ও ব্যবসায়িক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সম্প্রতি চীন সফর করেছেন।
এদিকে, চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং সোমবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ব্লিঙ্কেন এক্স-এ পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংয়ের সঙ্গে একটি অকপট এবং গঠনমূলক বৈঠক করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ প্রেসিডেন্টের দূত জন কেরিও মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝেংয়ের সঙ্গে দেখা করেন।
উভয় পক্ষ একটি জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।