বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। কারণ তার শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর এবং তাকে গ্রেফতার অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে। জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারবলেন, এটা নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্ন করেন, গত সপ্তাহে আপনি ঘোষণা করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের যে কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা এই ধরনের উদ্যোগ নেবে তাদের ওপরও বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছে যে- নির্বাচনের আগে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তাই এটা কি সত্য এবং এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
মিলার বলেন, আমি বলব, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যখন গত মে মাসে এই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিলেন, এর উদ্দেশ্য নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনও পক্ষ নেওয়া নয়, বরং বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। গত শুক্রবার যখন আমরা এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধগুলো ঘোষণা করেছিলাম তখনও আমরা উল্লেখ করেছি, এই নীতির মধ্যে– আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীরাও অন্তর্ভুক্ত আছেন।
পরে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন এবং এই বিষয়টি ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আপনি কি মনে করেন না যে, এই নিষেধাজ্ঞা যদি মিডিয়াতে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে দুর্বল করবে?
মিলার বলেন, আমি মনে করি আমরা ইতিমধ্যেই যা বলেছি এবং কার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে তা আমরা নির্দিষ্ট সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করিনি, কারণ মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয় তথ্য। তবে এটি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।