যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুরক্ষা কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।এটি মার্কিন প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা পরিষেবাগুলোর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষমতার বিকাশ এবং একীকরণের তত্ত্বাবধান করবে।
এনএসএ এবং ইউএস সাইবার কমান্ডের পরিচালক জেনারেল পল নাকাসোন বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুরক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ উন্মোচন করেছেন বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
পল নাকাসোন বলেছেন, চীনের হুমকি মোকাবেলা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা বজায় রাখবে।তবে ইতোমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে বলেও জানান তিনি যা সম্প্রসারিত করা হবে।
নাকাসোন বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্রটিকে এনএসএ এর বর্তমান সাইবারসিকিউরিটি কোলাবরেশন সেন্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।এটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্টারপ্রাইজ এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতার নিরাপদ ব্যবহার প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।
তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ল্যান্ডস্কেপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করেন এবং নতুন কেন্দ্রের উদ্বোধনকে ভবিষ্যত গঠনের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ব্যক্ত করেন।যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সফলতা আনবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের দেশ এবং আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের জন্য কূটনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান সকল চাহিদা মেটাবে’।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাকাসোন বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তা করবে।আসন্ন ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য রাশিয়া বা চীনের প্রচেষ্টা এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে কাজ করবে।শুধু নিজ দেশ নয়, অন্যান্য দেশের নির্বাচন ইস্যুতেও কাজ করবে এই কেন্দ্র।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতির ভোটের আগে বিশ্বের অন্যান্য অংশে বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনকালীন কোনো হেরফের প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে অংশীদার এবং মিত্রদের সাথে কাজ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।