ইউক্রেনকে বিমান প্রতিরক্ষা, রকেট এবং গোলাবারুদসহ ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে কিয়েভের আন্তর্জাতিক সমর্থকদের দুই দিনের বৈঠকের উদ্বোধনকালে বুধবার (১১ অক্টোবর) ওই সামরিক সহায়তা প্যাকেজটি ঘোষণা করেন।
চলতি মাসের শুরুতে সরকারি শাটডাউন এড়াতে কংগ্রেস একটি বিল থেকে কিয়েভের জন্য নতুন তহবিল বাদ দেওয়ার পর এই প্যাকেজটির ঘোষণা আসলো।
রিপাবলিকানদের প্রতিরোধের মধ্যে তহবিল প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য ওয়াশিংটনের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, অস্টিন বুধবার বারবার আশ্বাস দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যতদিন সময় লাগবে ততদিন ইউক্রেনের পাশে থাকবে।
অস্টিন এবং বিমান বাহিনীর জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন কিয়েভসহ মিত্রদের আশ্বস্ত করার জন্য এই বৈঠকটি ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে ট্যাংক, রকেট এবং লক্ষাধিক রাউন্ড গোলাবারুদ রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও শীতের আগে মিত্রদের আরও অস্ত্রের জন্য চাপ দেওয়ার জন্য ব্রাসেলসের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
জেলেনস্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের আগে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমরা প্রস্তুত। এখন আমাদের নেতাদের কাছ থেকে কিছু সমর্থন প্রয়োজন।’
এদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের শক্তি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে শীতকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার জন্য আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এটি প্রতিরোধ করা দরকার। বিমান প্রতিরক্ষার জন্য আরও উন্নত এবং বর্ধিত ক্ষমতা সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারি।’
ইউক্রেন গত জুলাই মাস থেকে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বে অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। কিন্তু, রাশিয়ার দুর্গ এবং ল্যান্ডমাইনগুলোর কারণে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্রাসেলসে দুই দিনের সমাবেশের সময় কর্মকর্তারা ফিনল্যান্ড এবং এস্তোনিয়াকে সংযুক্তকারী একটি সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস পাইপলাইন এবং টেলিযোগাযোগ তারের সাম্প্রতিক ক্ষতিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।