ইরান ও হিজবুল্লাহকে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে যোগদান থেকে বিরত রাখতে পেন্টাগন ইসরায়েলের কাছাকাছি দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
মার্কিন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে বলেছেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে এক সপ্তাহে আগে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক জ্বালানিসমৃদ্ধ বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য ইউএসএস আইজেনহাওয়ার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পাঠানো হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। তিনি বলেন, আমি ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে (সিএসজি) পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়া জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
অবরুদ্ধ গাজায় শনিবার (১৪ অক্টোবর) থেকে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগ শিশু ও নারী বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্তত দুই হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহত হয়েছে অন্তত এক হাজার ৩০০ জন। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে কোনো হামলায় এতজন ইসরায়েলি নিহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ইসরায়েলের বিমান হামলার মুখে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার কোথাও আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এমনকি তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে উপত্যকাটিতে খাওয়ার পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে সেদিনই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। পরদিন উপত্যকাটি পুরোপুরো অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস, খাবার ও পানির সরবরাহ। এতে করে চরম সংকটে পড়েন গাজাবাসী।