চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে প্রতিশোধ নেবে ওয়াশিংটন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সম্প্রতি গাজা ইস্যুতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এবং সামনের দিনগুলোতে আরও হামলা চালানো হবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমন সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দিলেন।
রোববার (২৩ অক্টোবর) এনবিসি-র মিট দ্য প্রেসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে ওয়াশিংটন প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। চলমান ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি হিজবুল্লাহ বা হামাসের মতো ইরানি মিত্রদের কাছ থেকে চলমান সংঘাত আরও ‘বৃদ্ধির আশঙ্কার’ কথা উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েলি ও মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করতে ‘সকল ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে’ যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় চলমান সংঘাতের জের ধরে আমেরিকান সৈন্যরা যদি শত্রুতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তবে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে বাইডেনের প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কার্যকরভাবে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে এবং প্রয়োজনে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরীসহ অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।
মার্কিন শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার যে আলোচনা হয়েছে সেটি অনুসারে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকা শাসন করতে চায় না।
তবে তিনি জোর দিয়েছিলেন যে যুদ্ধের পরে, স্থিতাবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব নয়।
এদিকে, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ বিষয় নিয়ে বাইডেন পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও কথা বলেছেন।