পূর্ব সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক এস রাইডার। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ভোরে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের দুটি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ১৭ অক্টোবর ইরাকের ১২টি এবং সিরিয়ার ৪টি মার্কিন ঘাঁটিতে পরিচালিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান অস্ত্র ব্যবহার করে স্থানীয় সময় প্রায় সাড়ে ৪ টায় ইরাকের সীমান্তের আবু কামালের কাছেও হামলা চালায় দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য খর্ব করতে ইরান সমর্থিত গ্রুপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইরান সমর্থিত যে গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানতে চায় বা ইতিমধ্যে আঘাত হেনেছে, তাদের প্রতি পাল্টা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেছেন, এর আগে ইরাকের আল-আসাদ বিমান ঘাঁটি এবং সিরিয়ার আল-তানফ সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এ দুটি হামলায় ২১ মার্কিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ইরান সমর্থিত আধাসামরিক বাহিনীগুলোর পরিচালিত হামলার বেশির ভাগই সফল হয়নি। তবে তার জবাব হিসেবে এই আত্মরক্ষামূলক হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আসা হামলাগুলোকে সহ্য করব না এবং নিজেদের কর্মকর্তা, নাগরিক ও স্বার্থকে রক্ষা করব।’
এই অভিযান যে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত থেকে আলাদা, সেটিও উল্লেখ করেন তিনি।