রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অস্থিরতার মধ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিশ্ব ব্যবস্থাকে আরও অস্থির করে তুলেছে। সামরিক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা এই দুই যুদ্ধেই প্রকটভাবে রয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সামরিক সংগঠন হামাস ইসরায়েল আক্রমণের পর গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই অস্থিরতা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে অপর সামরিক পরাশক্তি রাশিয়া, ইরান ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার পর সৌদি আরব, তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারও অতীতের ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী আগ্রাসন বন্ধে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
খোদ পশ্চিমা দেশসমূহ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকরাও ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ব্যাপকভাবে সরব হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহযোগিতা প্রদানের একটি বিলও আটকে গেছে এই প্রতিবাদের মুখে। এই অবস্থার মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকেই বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্তাব্যক্তি। ইসরায়েল হয়ে তাদের এ সফর শুরু হচ্ছে । তারপর জর্ডন হয়ে নয়াদিল্লি এসে পৌঁছবেন তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ভারত সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সফরসঙ্গী প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন ও অস্টিন ভারত সফরে দু’টি বৈঠকে অংশ নেবেন। ব্লিঙ্কেন বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এবং অস্টিন বৈঠক করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কুটনৈতিক মহল। যদিও দু’টি বৈঠক কবে হবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দু’টি বৈঠকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, ইসরায়েল-হামাসের চলতি সংঘাত নিয়েও আলোচনা হবে।
ইসরায়েল সফর শুরুর আগে ব্লিঙ্কেন নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, আমরা যেমন ইসরায়েলকে রক্ষা করব, তেমনই ফিলিস্তিনের নাগরিকেদের সাহায্য করা হবে।