জি-৭ বৈঠকে অংশ নিতে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাপানে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। জি-৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ইতিমধ্যেই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিন্তু, মধ্যপ্রাচ্যে তার সর্বশেষ ঝটিকা সফরের পর টোকিওতে দুই দিনের বৈঠকের বিষয়ে এখনও কোনও প্রকাশ্য মন্তব্য করেননি ব্লিঙ্কেন।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ব্লিঙ্কেন সোমবার (৬ নভেম্বর) তুরস্কে বলেছিলেন, ‘আটকে পড়া বেসামরিক লোকদের জন্য সহায়তা সম্প্রসারণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে ওয়াশিংটন।’
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সামনের দিনগুলোতে দেখব যে, সহায়তা উল্লেখযোগ্য উপায়ে প্রসারিত হচ্ছে।’
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার কৌশলগত বিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে নেতানিয়াহু হামাসকে ধ্বংস করার জন্য আপাতত যুদ্ধে হাল ছাড়বেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ফ্রান্সই একমাত্র জি-৭ সদস্য যারা গত মাসে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দেয় এবং জাপান, ব্রিটেন, ইতালি, জার্মানি এবং কানাডা ভোটদানে বিরত থাকে।
টোকিওতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কলোনার উপস্থিতির ঘোষণা দিয়ে ফ্রান্স এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই বৈঠকে গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠীর চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়ার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
ক্যাথরিন কলোনা বলেন, ‘হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি আমাদের নিন্দা এবং জিম্মিদের মুক্তির বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও আমরা এই বৈঠকে পুনরাবৃত্তি করবো।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ‘গাজার জনগণের দুর্ভোগ কমাতে আমরা কীভাবে মানবিক অবস্থানগুলো একসঙ্গে অর্জন করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করবে জি-৭।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে এটা স্পষ্ট যে, হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল এবং গাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে। হামাসকে গাজা উপত্যকার মানুষের ভাগ্য নির্ধারণের অনুমতি দেওয়া যাবে না।’