যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দুটি ছাত্র সংগঠনকে হুমকিমূলক বক্তব্য ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান জেরাল্ড রোসবার্গ বলেছেন, ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন ফিলিস্তিন’ ও ‘ইহুদি ভয়েস ফর পিস’ পুরো সেমিস্টার জুড়ে স্থগিত থাকবে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, দু’টি গ্রুপ বারবার ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘন করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অনুমোদনবিহীন ইভেন্টে হুমকিমূলক বক্তৃতা ও ভীতি প্রদর্শন করা হলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোসবার্গ বলেন, গ্রুপ দুটি যদি ক্যাম্পাসের নিয়ম মেনে চলার ইচ্ছা প্রদর্শন করে তখনই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কার্যক্রমগুলো বিঘ্ন ছাড়াই পরিচালনার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আয়োজিত বিক্ষোভটিতে অংশ নিতে কলম্বিয়ার শত শত শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে। তারা ওয়াশিংটনকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের এবং যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামাসকে ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলি অভিযানে ১১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারিরা বিশ্ববিদ্যালয় বর্জন ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করারও দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে, ছাত্র, অধ্যাপক ও প্রশাসকদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ইহুদি-বিদ্বেষ, ইসলামফোবিয়া এবং বাকস্বাধীনতার হুমকির অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে।