চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে ইসরায়েলকে সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংঘাত শুরুর দিন থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থনে জোরদার অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে সমর্থন করলেও ৪৬ শতাংশ তার নেয়া সিদ্ধান্তগুলোয় অনাস্থা জানিয়েছেন।
এদিকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে বিশ্বের অনেক দেশ। তেল আবিববকে ঢালাওভাবে সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরা।
দেশটির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ফিলিস্তিনের সংঘাত বন্ধের আন্দোলন। এতে উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। বিরোধীদল ছাড়াও ইসরাইলকে বিবেকশূন্য অন্ধ সমর্থনে এবার নিজ দলেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাটদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দেখা দিয়েছে গভীর বিভাজন। ৫০০ জনেরও বেশি বাইডেন সমর্থক প্রচার কর্মী গাজার পক্ষে কথা বলছেন। অনেকেই মনে করেছেন, বিষয়টি বাইডেনের পুনঃনির্বাচনের যাত্রাকে জটিল করে তুলবে।
চলমান হামাস-ইসরাইল সংঘাতে তেল আবিবকে সমর্থন দেয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক চাপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনকি বাইডেনকে গোপনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন কূটনীতিবিদরাও।
এদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মতপার্থক্য। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্রের বক্তব্য থেকেই তা নিশ্চিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলপ্রীতির নজির হিসেবে প্রায় ৭৫ বছর ধরে ওয়াশিংটন ইসরাইলকে বড় আকারের সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সমর্থন দিয়ে আসছে।
ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থনের কারণে আরব বিশ্বের সমর্থন হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।আর এ কারণেই বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন মার্কিন কূটনীকিতরা।