দুই মার্কিন প্রতিপক্ষ লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের কিংবাবা ইরানকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অংশ হিসেবে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।
আর এই কাজে মস্কো ব্যবহার করছে তার ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ওয়াগনারকে। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এমনটাই দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের তথ্য ইঙ্গিত করে যে, ওয়াগনার রাশিয়া সরকারের নির্দেশে হিজবুল্লাহ কিংবা ইরানকে একটি বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে চলতি মাসের শুরুতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, ওয়াগনার রাশিয়ার স্ব-চালিত বিমান বিধ্বংসী কামান প্যান্টসির-এস ১ এবং এসএ-২২ নামে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ক্রেমলিননের অর্থায়নে পরিচালিত ওয়াগনার সেনাদের গত বছর জুনে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের পরে লাইনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই বিদ্রোহ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দশকের শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সৃষ্টি করেছিল।
কিরবি বলেন, ‘যারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য ওই সমরাস্ত্র স্থানান্তর করবে, আমরা অবশ্যই সেই রাশিয়ান ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী নিষেধাজ্ঞা কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ইরান ওই সাহায্যের বিনিময়ে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে এখন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে।’
উল্লেখ্য, মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে ওয়াশিংটন সতর্ক করে আসছে।
কিরবি বলেন, মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্ক সুস্পষ্টভাবে ইউক্রেনের জন্য ক্ষতিকারক। এটি ইরানের প্রতিবেশীদের জন্যও ক্ষতিকারক।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গত সেপ্টেম্বরে ইরানে সরকারি সফর করেছেন, যা মিত্রদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উভয় দেশই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার অধীন এবং এই দুই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করছে।