রাশিয়ার বোমারু বিমানের হুমকির কারণে দেশব্যাপী বিমান সতর্কতা জারি হওয়ার পরপরই মঙ্গলবার (২ জানিুয়ারি) রাজধানী কিয়েভের দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী।
কিয়েভে মঙ্গলবার সকালে এএফপির সাংবাদিকরা ১০টিরও বেশি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এতে কেন্দ্রের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে।
কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, আবাসিক ভবনসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো পড়েছে।
মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, ‘রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেছে।’
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ‘কিয়েভের অধিবাসীরা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকুন। অনেক ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের দিকে আসছে।’
বিমান বাহিনী আরও বলেছে, ‘রাশিয়ানরা কিনজহল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে এবং আরও অনেকগুলো রাজধানীর দিকে আসেছে।’
সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে হামলা হয়েছে।’
এর আগে গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাশিয়ার একটি সিরিজ হামলায় ইউক্রেনজুড়ে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
ডিনিপ্রপেট্রোভস্কের গভর্নর সের্গেই লাইসাক অন্যান্য শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে চারজন, কিয়েভে দুইজন, ওডেসায় দুইজন, খারকিভে একজন এবং লভিভে একজন নিহত হয়েছেন। ওই হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।’
কিয়েভে এএফপির সাংবাদিকরা শুক্রবার ভোর রাতে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং একটি গুদাম থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাট বলেছেন, ‘রাশিয়া বাহিনী প্রথমে ড্রোন হামলা শুরু করে এবং পরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মনিটরে এতটা লাল দেখিনি।’
রাষ্ট্রপতির সহযোগী আন্দ্রি ইয়ারমাক আরও বলেন, ‘আজ বেসামরিক স্থাপনা, বেসামরিক ভবনগুলোতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মানুষ মারা গেছে। আমরা আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সবকিছু করছি। কিন্তু, বিশ্বকে দেখতে হবে যে, এই সন্ত্রাস বন্ধ করতে আমাদের আরও সমর্থন এবং শক্তি প্রয়োজন।’