ক্রিমিয়ার আক্রমণের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের পাঠনো ৩৬টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে রাশিয়া।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের ভূখন্ডে লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের আক্রমণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’
মন্ত্রণালয়টি ওই বিবৃতিতে আরও বলেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রিমিয়ার উপর ৩৬টি ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংস ও প্রতিহত করেছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করেছিল এবং কিয়েভ এটি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে।
মন্ত্রণালয়টি বলেছে, রাশিয়ার পশ্চিম ক্রাসনোদর অঞ্চলে আরেকটি ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরকে ঠেকানোর জন্য কিয়েভ যুদ্ধের সময় থেকে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ক্রিমিয়ার বৃহত্তম শহর সেভাস্টোপলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন।
ইউক্রেন বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা বন্দর শহর সেভাস্টোপলের কাছে একটি রাশিয়ান কমান্ড পোস্টকে বিমান হামলার টার্গেট করেছে। এতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে মধ্যস্থতায় সফল হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্মতিতে বুধবার (৩ জানুয়ারি) যুদ্ধবন্দি বিনিময় সম্পন্ন করে দুই দেশের সেনাবাহিনী।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয় যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ এবং জটিল আলোচনা পর্ব সফল হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ইউক্রেন থেকে ২৪৮ জন বন্দিকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দপ্তর জানিয়েছে, রাশিয়া সরকার বন্দি ২০০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিককে কিয়েভ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। গত ২৩ মাসের যুদ্ধে এর আগেও কয়েকবার বন্দি বিনিময় করেছে দুই দেশ।