ইরানের দক্ষিণ-পূর্বের অঞ্চল কেরমানে কাসেম সোলেইমানির ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১০৩ জনের প্রাণহানির বিষয় নিশ্চিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেফতারও করেছে ইরান পুলিশ।
বুধবার সংগঠিত এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। দুটি বিস্ফোরণে নিহত শতাধিক মরদেহ দাফনের সময় উপস্থিত শোকার্তরা ‘প্রতিশোধ’ ‘প্রতিশোধ’ বলে আহাজারি করছিলো।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেরমানে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলায় সাহায্য করার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া ইরানের অন্যান্য অংশে থাকা নয়জনকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাদের এজেন্টরা বিস্ফোরক ডিভাইস এবং এর কাঁচামাল, বিস্ফোরকসহ জ্যাকেট, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, ডেটোনেটর এবং বিস্ফোরক জ্যাকেটে ব্যবহৃত কয়েক হাজার পেলেট (বিস্ফোরকে ব্যবহৃত ছোট ধাতব পদার্থ) জব্দ করেছে।
আত্মঘাতী হামলাকারীদের একজনকে তাজিকিস্তানের নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়।
কেরমানের ইমাম আলী ধর্মীয়কেন্দ্রে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার মেজর-জেনারেল হোসেন সালামি বলেন, ‘যেখানেই থাকুন না কেন আমরা আপনাদের (হামলাকারী) খুঁজে বের করব।’
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘পদক্ষেপ নেওয়ার স্থান এবং সময় নির্ধারণ করবে আমাদের বাহিনী।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত উত্তেজনার মধ্যেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর এটিকেই ধরা হচ্ছে ইরানের সংঘটিত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা।