কয়েক মাসের আলোচনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) তুরস্কের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির জন্য ২৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। চুক্তিটির অনুমোদন গত কয়েক মাস আটকে রেখেছিল কংগ্রেস।
রয়টার্স জানিয়েছে, আঙ্কারা সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ অনুমোদন করার পর যুদ্ধবিমান বিক্রির ঘোষণা দিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মার্কিন আইন অনুসারে কংগ্রেসকে চুক্তির বিষয়ে অবহিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।
সেই সঙ্গে গ্রিসের কাছে আলাদাভাবে ৮.৬ বিলিয়ন ডলারে ৪০টি এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে কংগ্রেস।
তুরস্ক ৪০টি নতুন এফ-১৬ পাবে এবং তার বিদ্যমান বিমান বহরে থাকা ৭৯টি জেট বিমানের উন্নয়ন করবে। তুরস্কের পররাষ্ট্র দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আলোচনার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় তুরস্কের সুইডেনের সদস্য পদ অনুমোদনের নথি ওয়াশিংটনে না আসা পর্যন্ত লেনদেনের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে সুইডেনকে সমর্থনের সকল উপকরন অবশ্যই ওয়াশিংটনের কাছে জমা দিতে হবে।
ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন যাবেন এবং ট্রান্স-আটলান্টিক জোটের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে জুলাই মাসে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কের পার্লামেন্ট এক বছরেরও বেশি সময় বিলম্বের পর গত মঙ্গলবার সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ অনুমোদন করে।
প্রাথমিকভাবে স্টকহোমের কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর স্বীকৃতির বিষয়ে সুইডেনের ন্যাটোভুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কারণ, আঙ্কারা কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
এর পর সুইডেন তার সন্ত্রাস বিরোধী আইন কঠোর করে এবং এরদোয়ানের দাবিকৃত অন্যান্য নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার প্রতিক্রিয়া জানায়।
কিন্তু, এরদোয়ান তখন মার্কিন প্রতিশ্রুত এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের একটি ব্যাচ সরবরাহের দাবি জানায়।
কিন্তু তুরস্কের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং ন্যাটো সদস্য গ্রিসের সঙ্গে বিরোধের কারণে যুদ্ধবিমান সরবরাহে কংগ্রেসের বাধার মুখোমুখি হয় যুক্তরাষ্ট্র।