ইউক্রেনকে সমর্থন করে দেশটির কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা দেওয়ার ফ্রান্সের অবস্থানকে ‘বিপজ্জনক’ বলে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অভিহিত করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
আরটি জানিয়েছে, প্যারিস গত সপ্তাহে দাবি করেছে যে, ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় তিন ফরাসী মানবিক সহায়তা কর্মী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ওই ঘটনাকে কাপুরুষোচিত কাজ বলে অভিহিত করেছেন এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজোর্ন এটিকে রাশিয়ার বর্বরতার উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জাখারোভা বলেন, এই বিবৃতিগুলো সহ্য সীমার রেখা অতিক্রম করার কাছাকাছি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্যারিসের উল্লিখিত ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে অবগত ছিল না মস্কো। তিনি বলেন, ‘মানুষের মৃত্যু সর্বদাই একটি ট্র্যাজেডি।’
জাখারোভা আরও বলেন, ‘স্বদেশীদের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ হয়েও ফরাসি নেতারা এই বিষয়টির প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রাখতে পছন্দ করেন। কারণ, তারা যে অস্ত্র সরবরাহ করে তা কিয়েভ সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাশিয়ার শহরগুলোতে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করার জন্য ব্যবহার করছে।’
ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি উল্লেখ করে জাখারোভা বলেন, ‘প্যারিস সন্ত্রাসবাদের কাজকে ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টা করে জানুয়ারিতে দাবি করেছিল যে, ইউক্রেন আত্মরক্ষার জন্য কাজ করছে। ইউক্রেন জানুয়ারিতে রাশিয়ার শহর বেলগোরোডে হামলা চালায়, যে হামলায় ২৫ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং শতাধিক আহত হয়।’
তিনি আরও বলেন, সংঘাতে ফ্রান্সের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা যুদ্ধকে শুধু দীর্ঘায়িতের দিকে পরিচালিত করে না, বরং ফরাসি নাগরিকদের জীবনকেও বিপন্ন করে তোলে।’
অন্যদিকে গত মাসে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে, তারা ইউক্রেনের শহর খারকিভের উপর একটি নির্ভুল হামলায় ৬০ জনেরও বেশি বিদেশী যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই ফরাসি ভাষাভাষী।
ফরাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করেছিল যে, ইউক্রেনে বা অন্য কোথাও ভাড়াটে সেনা রয়েছে।
ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকোর্নু পরে স্বীকার করেন যে, বেশ কিছু ফরাসি নাগরিক, যারা দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তারা ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন।