রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেস অনুসারে এনডিটিভি জানিয়েছে, এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাসসহ তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রীকে ওয়ান্টেড তালিকায় রেখেছে রাশিয়ার পুলিশ।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্যালাসকে ‘ঐতিহাসিক স্মৃতি অপবিত্র করার’ জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা তাস জানিয়েছে, ওই বাল্টিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত সেনাদের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে।
তাস আরও জানিয়েছে, ক্যালাসের পাশাপাশি এস্তোনিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেক্রেটারি তাইমার পিটারকপ এবং লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী সিমোনাস কাইরিসকে তালিকায় রাখা হয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি কেবল শুরু।’
জাখারোভা বলেন, ‘নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদ থেকে বিশ্বের মুক্তিদাতাদের স্মৃতির বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হওয়া উচিত।’
ক্যালাস কিংবা তার মুখপাত্র এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী কাইরিসের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে মস্কোর ডাটাবেসের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, বাল্টিক দেশগুলো যারা পূর্বে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, তারা সোভিয়েত যুগের স্মৃতিস্তম্ভগুলো ধ্বংস করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
ক্যালাস ২০২২ সালে বলেছিলেন, এস্তোনিয়া কর্তৃপক্ষ এই জাতীয় ২০০ থেকে ৪০০টি স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিন বিষয়টির একটি ফৌজদারি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মস্কোর ওই ওয়ান্ডেট তালিকায় বাল্টিক রাজনীতিবিদের নাম সংযুক্ত হওয়ায় তারা রাশিয়ার সীমানা অতিক্রম করলেই তাদের গ্রেপ্তারের ঝুঁকিতে পারতে হতে পারে বলে জানা গেছে।
এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া বিভিন্ন স্তরের কয়েক ডজন বাল্টিক রাজনীতিবিদকে ওয়ান্টেড তালিকায় রেখেছে। এর মধ্যে লাত্ভিয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজা গোলুবেভাও রয়েছেন।