রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজতে নিজস্ব ড্রোন ব্যবহার করেছে ইরান

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

ziaulziaa | 2024-05-22 15:59:28

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারটি সনাক্ত করতে দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোন ব্যবহার করেছে তেহরান।

রয়টার্সকে বুধবার (২২ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী।

উল্লেখ্য, রাইসির হেলিকপ্টারটি আজারবাইজানের সীমান্তে একটি অনুষ্ঠান থেকে তাবরিজ শহরে ফিরে আসার সময় রবিবার (১৯ মে) একটি কুয়াশা-ঢাকা পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।

সোমবার (২০ মে) ভোরে বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি সনাক্ত হওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং তুরস্কের সহায়তা নিয়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

ইরানের সামরিক বাহিনী বলেছে, সেই সময় নাইট-ভিশন সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় তুরস্কের পাঠানো একটি ড্রোন।

দেশটির সামরিক বার্তা সংস্থা আইআরএনএ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওই ড্রোনটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং সেটিকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

আইআরএনএ ওই বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘অবশেষে সোমবার ভোরে উদ্ধারকারীরা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ড্রোন দ্বারা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সঠিক স্থানটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।’

এদিকে, সশস্ত্র বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল নেমেছে। বুধবার (২২ মে) তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সংবাদ মাধ্যম তেহরান টাইমস জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসির দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

এসময় হাজার হাজার মানুষ কালো পোশাক পরে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে প্রচুর মানুষকে রাইসির কফিন ছুঁয়ে শোক প্রকাশ করতে এবং কফিনের ছবিও তুলতে দেখা গেছে। এরপর আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ দেন শোকার্ত জনতা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর