আইডিএফ'র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নেতানিয়াহুর তীব্র বিরোধ

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-07-03 06:25:55

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রচণ্ড বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে এ বিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর অবস্থান তার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি বলছেন, কোনোভাবেই যুদ্ধবিরতি হবে না। টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মতে, আইডিএফের শীর্ষ জেনারেলরা যেকোনো মূল্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান। এমনকি তাতে যদি উপত্যকার শাসন ক্ষমতা হামাসের হাতেই থাকে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস অজ্ঞাত সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চায় ইসরায়েলের সামরিক নেতৃত্ব।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে হামাস। পাশাপাশি দুই শতাধিক জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। জবাবে গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। এরপর থেকে দীর্ঘ আট মাসের বেশি ধরে এ যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এতে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর আর্টিলারি শেল বা গোলার সরবরাহও কমে আসছে। অন্যদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় গাজায় একটা কার্যকর একটা যুদ্ধবিরতি চাইছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জেনারেলরা।

সোমবার (১ জুলাই) নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলের জেনারেল স্টাফ ফোরামের ৩০ জন সিনিয়র জেনারেল চাইছেন, নেতানিয়াহু হামাসের সাথে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছান। এমনকি সেক্ষেত্রে যদি হামাসের হাতেই শাসন ক্ষমতা রাখতে হয়ও।

প্রতিবেদনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ছয় বর্তমান কর্মকর্তা ও সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করা হয়েছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

তবে নেতানিয়াহু ‘অজ্ঞাত সূত্র’র প্রতিবেদনটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, হামাসকে ক্ষমতায় রেখে গাজায় যুদ্ধের অবসান হবে না।

তিনি বলেছেন, ‘অজ্ঞাত পক্ষগুলো কারা তা আমি জানি না। কিন্তু এখানে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট করছি: এমনটি ঘটবে না।’ তিনি আরও বলেন, হামাসকে নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্তির সব লক্ষ্য অর্জনের পর কেবল আমরা এই যুদ্ধ শেষ করব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর